ছড়া

মুগ্ধতা.কম

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ , ১০:১৫ পূর্বাহ্ণ

ছড়া

মুগ্ধতা.কম

১৫ আগস্ট, ২০২৩ , ১:০৭ অপরাহ্ণ

ঘরে ফিরা আইসো বন্ধু বইসো শূন্য পিঁড়ায়

ঘরে ফিরা আইসো বন্ধু

পাইতা থুইছি পিড়া,

জলপান যে করতে দেব

ইরি ধানের চিড়া।

শালি ধানের চিড়া ছিল

বিন্নি ধানের খই,

কোথায় পাবো শবরীকলা

গামছা বাঁধা দই!

জান মেরেছে খান পশুরা

বর্গী সেজে ফের

আগুন জ্বেলে খাক করেছে

দেশটা আমাদের।

প্রাণের বন্ধু ঘরে আইলা

বসতে দিমু কিসে;

বুকের মধ্যে তোমার বাণী

রক্তে আছে মিশে।

বঙ্গবন্ধু তোমার আসন

বাংলাদেশের মাটি,

মনের মধ্যে পাতা আছে

প্রীতির শীতলপাটি।

[বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দেশে প্রথম ছড়া লেখেন রফিকুল হক দাদুভাই (জন্ম: ৮ জানুয়ারি, ১৯৩৭, মৃত্যু: ১০ অক্টোবর, ২০২১)  । লন্ডনে চিকিৎসা শেষে ১৯৭২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু দেশে ফেরেন। সেদিনের পূর্বদেশে বিশেষ সংখ্যা বের হয়। এই বিশেষ সংখ্যার নামকরণ করা হয় দাদুভাইয়ের ছড়া। ছড়াটি দেশবাসীর মনে জায়গা করে নিয়েছিল।]

শ্রদ্ধাঞ্জলি - ঘরে ফিরা আইসো বন্ধু বইসো শূন্য পিঁড়ায়

মুগ্ধতা.কম

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ , ১১:৩৪ অপরাহ্ণ

বাংলা ভাষার জন্যে আমার মন আনচান করে

পড়তে গেলাম চায়নাতে

বাবা- মায়ের বায়নাতে

“চুং চাং চিং চু চা চি চি”

এই আগমন মিছেমিছি

পড়াশুনার পাট চুকিয়ে ফিরে এলাম দেশে

ভাষাই কারন বিষণ্ন মন জানায় অবশেষে।

সৌদি গেলাম পেটের দায়

ভাষার তোড়ে পরাণ যায়

“কাইফা হালু ইয়া আখি”

অবাক চোখে চেয়ে থাকি

মানে কী এর বুঝিনা ছাই ভাষারই মারপ্যাঁচে

ফিরে এলাম না হয় আমার ভিটেমাটি গেছে।

ভড়কে গেলাম জাপানে

ব্যস্ত ছিলাম চা পানে

(ফর্সা মেয়ে আমারে কয়)

“ওয়াতাশি ওয়া আনাতা”

মানে কি এর নেই জানা তা

দেইনি জবাব বুঝিনি তাই তাকিয়ে সে রয়

ভাষা ছাড়া কেমনে বলুন ভাবের প্রকাশ হয়!

ভাসিয়েছি কেঁদেই চোখ

ভাব প্রকাশের পাইনি লোক

দিন গিয়েছে বছর সমান

আমার এ মন দেয় সে প্রমান

হিন্দি বলুন! উর্দু বলুন! ভিনদেশিয় ভাষা

কারো মনে জাগাতে কী পারে কোন আশা!

কষ্টগুলো রেখেছিলাম বুকের মাঝে ধরে

বাংলা ভাষার জন্যে আমার মন আনচান করে।

বাংলা ভাষার জন্যে আমার মন আনচান করে
Comments Off
59 Views

মুগ্ধতা.কম

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ , ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ

নিজের ভাষা মায়ের ভাষা

আচ্ছা ধরো, পাখির ছানা 

কিচিরমিচির ভুলে,

হুক্ কা হুয়া ডাক ধরলো 

সক্কলে প্রাণ খুলে।

নোটন নোটন পায়রাগুলি

মিঞাও সুরে-সুরে

খুনসুটি আর খুদ খুঁটছে 

উঠান ঘুরে-ঘুরে।

ব্যাঙ ডাকছে, হালুম হালুম 

ডোবায় খালে বিলে,

কাক করছে ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর 

প্যাঁক প্যাঁক প্যাঁক চিলে।

শিস বাজিয়ে দুষ্টু বিড়াল 

ছুটলো ভীষণ জোরে, 

মোরগগুলো ঘুম ভাঙালো

হা-ম-বা ডেকে ভোরে।

ঝিঁঝিপোকার একটানা ঝিঁ…

ডাকলে জোনাক পোকা,

আচ্ছা দাদু লাগবে কেমন?

—প্রশ্ন করে খোকা।

যার ডাক তার কণ্ঠে মধুর

এটাই তো তার ভাষা,

সে তার ভাষায় স্বপ্ন দেখে

মেটায় সকল আশা।

ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে

বিশ্বে কোথাও পাবি?

নিজের ভাষায় বলবো কথা

এমন ছিল দাবি।

জানিস খোকা রফিক শফিক

অকুতোভয় সেনা,

এই আমাদের বাংলাভাষা 

তাদের খুনে কেনা।

ভাষা মানেই মায়ের ভাষা 

যে যার ভাষায় বাঁচে, 

নিজের ভাষার চেয়ে মধুর 

আর কি কিছু আছে?

নিজের ভাষা মায়ের ভাষা

মুগ্ধতা.কম

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ , ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ

দেশ গান

একুশ হয়ে একাত্তুরে

স্বাধীন হলো দেশ

মুক্তি মাতাল বাঙালিরা

পেলো বাংলাদেশ।। 

মুক্ত হলো রুদ্ধ আকাশ

যুদ্ধ দিনের গান

খোলা বুকে খোলা হাওয়া

খোলা হৃদয় প্রাণ

এইটুকু সুখ পাওয়ার জন্য

মূল্যটা যে বেশ ।। 

হারিয়ে গেল হাজার প্রাণ

ছেলে হারা মা

ভাই হারা বোনেদের বুকে

কান্না থামে না

রক্তমূল্যে কেনা এ সুখ

তুলনা যে অশেষ।।

(২)

আধুনিক গান

একুশ আমার সেই চেতনা

বেঁচে থাকার প্রেরণা

একুশ আমার  মুক্ত আকাশ

ভালোবাসার ঠিকানা ।।

একুশ তুমি  মেঠো পথে

রাখালিয়া সুর

একুশ তুমি মায়ের  ভাষা

মধুর চেয়ে মধুর।

তাইতো তুমি এ হৃদয়ে

অনেক দিনের চেনা।।

একুশ তুমি মন লাটাইয়ে

বাঁধন হারা ঘুড়ি

তোমার জন্যই ওই আকাশে

মুক্ত ডানায় উড়ি

তুমি আমার সবটুকু সুখ

নেই তোমার তুলনা ।।

দেশ গান

সোহানুর রহমান শাহীন

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ , ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ

বায়ান্ন’র একুশ

একুশ এলে বাংলা ভাষার

গান গেয়ে যাই প্রাণ খুলে

বন্দী বিবেক অতল আঁধার

ভাঙলো সিঁড়ি দীপ জ্বেলে।

একুশ এলে আলোকরেখা

তীব্র আলোয় সুখ ছড়ায়

মাটির সাথে মায়ের দেখা

রাতের তারায় চোখ বুলায়।

একুশ এলে পুষ্প মাল্যে

শহিদ মিনার শীর উঁচায়

প্রাণের ভাষা রক্ত মূল্যে

দিয়ে গেছেন নির্দিধায়।

একুশ এলে ছেলের খোঁজে

বীর শহিদের বৃদ্ধা মায়

অশ্রুসিক্ত নয়ন বুজে

কেঁদে কেঁদে মূর্ছা যায়।

বর্ণনায় বর্ণমালা

শীতল পরান জুড়িয়ে শেষে

ফাগুন মাসে একুশ আসে

বাংলা মায়ের দেশে।

রফিক বরকত লড়াই করে

গর্জে উঠে কন্ঠ ছাড়ে

বাংলা ভাষার তরে।

সালাম জব্বার স্বপ্ন ভরে

বর্ণমালার মিছিল করে

চলে গেছেন দূরে।

কলুষ মুক্ত নীল আকাশে

আজো তাদের ছবি ভাসে

ভাষার ইতিহাসে।

বায়ান্ন'র একুশ

মুগ্ধতা.কম

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ , ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ

অমর একুশ

শহিদ রফিক সালাম নাও আজ

যে আশাতে তুললে আওয়াজ

গগনবিদারী

ফের এসেছে দিবস তা-রি ,

অমর একুশ ফেব্রুয়ারি।

ক্ষয় হয়েছে ভাষার শোকের ?

যার দাবিতে ‘ধবল’ লোকের

ধার না ধারী ?

সেই কি দিবস ভুলতে পারি ?

অমর একুশ ফেব্রুয়ারি ।।

শুকিয়ে যাওয়া পলাশ-মালা

যার ছোঁয়াতে ভাংলো ‘কালা-

কানুন’ জারী,

সেই কি দিবস ভুলতে পারি ?

অমর একুশ ফেব্রুয়ারি ।।

যার ছোঁয়াতে ক্ষোভ দানাদার

শেষে যে বধ পাক-হানাদার

অত্যাচারী,

সেই কি দিবস ভুলতে পারি ?

অমর একুশ ফেব্রুয়ারি ।।

শিশির কণা শেখালো যার

কোনোক্রমে আমরা তো হার 

মানতে না’রি ,

সেই কি দিবস ভুলতে পারি ?

অমর একুশ ফেব্রুয়ারি ।।

খেলো যে দিন প্রথম হোঁচট

যার দাবিতে যুগল যে ঠোঁট

এই আমারি,

ফের এসেছে দিবস তা-রি

অমর একুশ ফেব্রুয়ারি ।।

অমর একুশ

শ্যামলী বিনতে আমজাদ

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ , ৯:২০ পূর্বাহ্ণ

শ্যামলী বিনতে আমজাদের একগুচ্ছ ছড়া

অন্তঃসারশূন্য

বিবেক ভেজেছি বেগুনের মত

বুদ্ধিকে ডুবো তেলে,

গরম ঘি-ভাতে ওসবের সাথে

হজম দারুণ মেলে।

সব খেয়ে আজ শক্তি ভীষণ

দাপট আমার হাই,

নিঁখুত সমাজে আমার মতন

কয়জন আছো ভাই?

_______________________

ছুটি

তুমি চলেছো মেঘ ছুঁয়ে ছুঁয়ে

আমি চলেছি রথে,

জানা আছে ফের

দেখা হবে ঠিক-

ভিন্ন দুটি পথে।

দিক হারিয়ে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে

মাছ খোঁজা ওই বক,

দিনশেষে সে ও

বেঁচে যায় ঠিকই-

নয়তো আহাম্মক।

যে যাই করি ফিরতে হবে

পড়বে যখন ডাক,

সব পিছুটান হটিয়ে দিয়ে

হয়ে যাব নির্বাক।

___________________________

চাকরির ভাষা

ভাইভা ঘরে ইংরেজিটা

এখন কমন খুব,

বাংলা ভাষার জায়গা সেথায়

নেই, দিয়েছে ডুব।

মায়ের ভাষা আর ভাসে না

ভাইভা নদে আজ,

চাকরিটা তাই হচ্ছে না ভাই

কপাল জুড়ে ভাঁজ !

________________________

ফাঁকি

এটা জানি, ওটা জানি

সেটা অজানা !

জানা অজানার মান

হয় না জানা ।

একে জানি,ওকে জানি

জানা কত বাকি !

নিজেকে জানা নিয়ে

দেই শত ফাঁকি ।

_______________________

কালের অহংকার

ছুটছে সময় আলোর বেগে

কীসের তাড়া তার?

কোথায় যে তার ঘর বাড়ি আর

কীসের অহংকার?

থামতে বলি, নেয় না কানে

কালা কি তার কান?

কার ডাকে সে যাচ্ছে ছুটে

কীসের এত টান?

_____________________

পোকা বার্তা

চালে পোকা ডালে পোকা

পোকা আম পাড়াময়,

কাঠে পোকা নাটে পোকা

পোকা আজ তাড়া নয়-

খেয়ে নেবে তোকে যে..

ফুলে পোকা কুলে পোকা

পোকা খুব জ্বালাময়,

পেঁপে পোকা মেপে পোকা

শিগগিরই সাড়া নয়

হাতে পোকা দাতে পোকা

পোকা আজ মাথাময়,

ডানে পোকা বামে পোকা

পোকা খুব যা তা নয়

বিবেকের শোকেজে !

শ্যামলী বিনতে আমজাদের একগুচ্ছ ছড়া

মুগ্ধতা.কম

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ , ১০:১৫ পূর্বাহ্ণ