রোগ থাকলেই তার প্রতিকার আছে।
মানব সভ্যতার ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় যত মারাত্মক রোগ মহামারি আকারে ছিল মানুষ সেগুলেকে প্রতিহত করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। বাংলাদেশেও গত ২৭ জানুয়ারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ টিকা গ্রহন (more…)
সর্বসাধারণের ব্যবহারযোগ্য করোনা ভাইরাসের ভ্যাক্সিন বের হয়েছে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে। পৃথিবীর বেশ কিছু দেশে ভ্যাক্সিন দেয়া শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ তার মধ্যে প্রথম সারিতেই আছে। অনেকের মধ্যেই ভ্যাক্সিন নেয়া বা দেয়া নিয়ে দ্বিধা আছে। একজন জনস্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে আমি মনে করি সুযোগ থাকলে আপনার করোনাভাইরাসের ভ্যাক্সিন নেয়া উচিৎ। তবে আপনার যদি (more…)
আমাদের দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে এটা প্রায় সকলেই জেনে গেছেন। এখন প্রশ্ন হলো এটা নিয়ে আমাদের কতটুকু চিন্তিত হওয়া উচিত এবং প্রতিরোধ করার জন্য কী ব্যবস্থা নেয়া দরকার এবং আমাদের লাইফস্টাইলটা কেমন হলে আমরা করোনা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হব ইন শা আল্লাহ্ঃ
১. আমাদের প্রথম কাজ হলো এটা নিয়ে গুজব না ছড়ানো, অতিরিক্ত আতংকিত না হওয়া। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে মৃত্যুর হার মাত্র ১-২%। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অন্যান্য অনেক রোগ আছে যেসবের মৃত্যুর হার করোনার চেয়ে বেশি। সুতরাং উল্টোপাল্টা গুজব না ছড়িয়ে ধৈর্য ধরে ব্যবস্থা নিতে হবে।
২. করোনা ভাইরাস আকৃতিতে বড়। এটা সাধারণত বাতাসে ভাসে না৷ তাই বাতাসের মাধ্যমে ছড়ানোর সম্ভাবনা কম৷ এটা মূলত ছড়ায় Droplet তথা হাঁচি, কাশি, সর্দির মাধ্যমে। এ কারণে আমাদের যতটা না মাস্ক ব্যবহার করা দরকার তার চেয়ে বেশি দরকার হাত ধোয়া। মাস্ক ব্যবহার করতে গিয়ে আবার হিতে বিপরীত হতে পারে৷ কারণ বেশিরভাগ মানুষই মাস্ক সঠিকভাবে ব্যবহার করতে জানে না। আমাদের উচিত বারবার হাত ধোয়া, খাবার আগে, টয়লেটের পরে, সন্দেহজনক কিছু ধরার পরে। মোট কথা যত বেশি পারা যায় হাত ধোয়া।
৩. বেশি বেশি ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়া যেমনঃ আমলকি, লেবু, কাঁচা মরিচ ইত্যাদি। চায়নাতে করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা করার জন্য শিরাপথে ভিটামিন সি ব্যবহার করে বেশ ভালো রেজাল্ট পাওয়া গেছে।
রেফারেন্সঃ https://clinicaltrials.gov/ct2/show/NCT04264533
ভিটামিন সি শরীরে প্রদাহ কমায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, এতে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে৷ তাই বেশি করে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খান।
৪. ফাস্টিং তথা না খেয়ে থাকা। আমরা অনেকেই জানি ফাস্টিং আমাদের ইমিউনিটি তথা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আমাদের উচিত বেশি বেশি ফাস্টিং করা এতে করোনা ভাইরাস আমাদের আক্রমণ করার সুযোগ পাবে না ইন শা আল্লাহ্।
৫. যাদের অন্য রোগ আছে যেমনঃ ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট, এজমা ইত্যাদি এবং যারা বয়স্ক তাদের অধিক সতর্ক থাকতে হবে। করোনা সাধারণত এনাদেরই বেশি আক্রমণ করে৷ কারণ তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। তাই যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত, খুব সতর্ক থাকবেন।
আরো পড়ুনঃ করোনা ভাইরাস: রক্ষা কবচ নিজের কাছে
৬. রোগ দেয়ার মালিক আল্লাহ্, সুস্থ করার মালিকও তিনিই৷ তাই আমাদের সবচেয়ে জরুরী যে কাজ তা হলো আল্লাহর কাছে দুয়া করা৷ তিনি যেন এই মহামারী থেকে আমাদের রক্ষা করেন।
করোনা ভাইরাসের লক্ষণগুলো সাধারণ ফ্লু গুলার মতই। জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি। এই লক্ষণগুলো যদি দেখা দেয় তাহলে প্রথমে ধৈর্য ধরে সাধারণ ব্যবস্থাগুলো নিতে হবে। ৭-১০ দিন পরেও যদি ভাল না হয় এবং যদি শ্বাসকষ্ট সহ রোগের অবনতি হয় তবে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে পরীক্ষা করার জন্য IEDCR এ যোগাযোগ করতে হবে। রোগীগণ নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে আসার পর হুট করে মাস্কের দাম বেড়ে গেছে। ১৫০ টাকায় যে বক্স বিক্রি হত তা এখন ১৫০০-২০০০ টাকা! কিন্তু করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে আসলেই কি মাস্ক পরার প্রয়োজন আছে?
করোনা ভাইরাস একটি বড় আকৃতির ভাইরাস। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে এটি বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় না। এটা ছড়ায় respiratory droplets অর্থাৎ হাঁচি, কাশি, সর্দি ইত্যাদির মাধ্যমে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কারো এই ড্রপলেটগুলোর সাথে আপনারা যদি সরাসরি কন্টাক্টে আসেন তথা স্পর্শ করেন তখন আপনার শরীরে এই ভাইরাস ঢুকতে পারে।
World Health Organisation (WHO) এর গাইডলাইন অনুযায়ী কোনো সুস্থ মানুষের করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য কোনো মাস্ক ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। তাহলে মাস্ক কারা ব্যবহার করবে? যারা অসুস্থ হয়েছেন তারা। যাদের সর্দি, কাশি, হাঁচি হচ্ছে তারা মাস্ক পরে থাকবেন যেন এগুলো বাইরে না ছড়ায়৷ হাঁচি বা কাশি দেয়ার সময় টিস্যু ব্যবহার করা উচিত৷
কিন্তু টিস্যু যদি না থাকে তখন কী করবেন? আপনার হাতের কনুই ব্যবহার করবেন। হাত ভাঁজ করে কনুইটা মুখের কাছে এনে তারপর হাঁচি বা কাশি দিবেন। হাতের মধ্যে দিবেন না কিন্তু!
সুতরাং করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই৷ বরং পরিষ্কার পানি দিয়ে বারবার হাত ধুয়ে নিন ও প্রচুর ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান।
এছাড়া আরও কিছু নরমাল এটিকেট মেনে চলা দরকারঃ
১. কারো জ্বর, সর্দি, কাশি হলে সেটা সাধারণ ফ্লু ই হোক না কেন সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাসা থেকে বের হবেন না।
২. কোনো ব্যক্তির যদি হাঁচি, কাশি থাকে তার থেকে তিন ফিট বা ১ মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন।
৩. যত বেশি পারা যায় হাত ধুয়ে নিন। প্রতিবার নামাজ পড়ার আগে ওযু করার চেষ্টা করুন।
৪. কোনো রকম গুজবে কান দিবেন না। কোনো জড় পদার্থের উপর করোনা ভাইরাস বেঁচে থাকতে পারে না৷ তাই চীন বা করোনা আক্রান্ত বিভিন্ন দেশ থেকে আনা কোনো জিনিস ব্যবহার করাতে কোনো সমস্যা নেই। রসুন খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। তবে রসুন, করোনা প্রতিরোধে তেমন কিছু করতে পারে না।
নিজে জানুন, অন্যকে জানান। ভয় পাবেন না, ভরসা রাখুন আল্লাহর উপর।
আল্লাহ্ তা’আলা আমাদের করোনার আক্রমণ থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দিন।
প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন আইইইডিসিআর এর সাথে
ডা. শাফায়াত হোসেন লিমন
চিকিৎসক, লাইফ স্টাইল মডিফায়ার।
ফেসবুক পেজ: fb.com/dr.shafayat.hossen.limon
আমাদের দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে এটা প্রায় সকলেই জেনে গেছেন। এখন প্রশ্ন হলো এটা নিয়ে আমাদের কতটুকু চিন্তিত হওয়া উচিত এবং প্রতিরোধ করার জন্য কী ব্যবস্থা নেয়া দরকার এবং আমাদের লাইফস্টাইলটা কেমন হলে আমরা করোনা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হব ইন শা আল্লাহ্ঃ
১. আমাদের প্রথম কাজ হলো এটা নিয়ে গুজব না ছড়ানো, অতিরিক্ত আতংকিত না হওয়া। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে মৃত্যুর হার মাত্র ১-২%। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অন্যান্য অনেক রোগ আছে যেসবের মৃত্যুর হার করোনার চেয়ে বেশি। সুতরাং উল্টোপাল্টা গুজব না ছড়িয়ে ধৈর্য ধরে ব্যবস্থা নিতে হবে।
২. করোনা ভাইরাস আকৃতিতে বড়। এটা সাধারণত বাতাসে ভাসে না৷ তাই বাতাসের মাধ্যমে ছড়ানোর সম্ভাবনা কম৷ এটা মূলত ছড়ায় Droplet তথা হাঁচি, কাশি, সর্দির মাধ্যমে। এ কারণে আমাদের যতটা না মাস্ক ব্যবহার করা দরকার তার চেয়ে বেশি দরকার হাত ধোয়া। মাস্ক ব্যবহার করতে গিয়ে আবার হিতে বিপরীত হতে পারে৷ কারণ বেশিরভাগ মানুষই মাস্ক সঠিকভাবে ব্যবহার করতে জানে না। আমাদের উচিত বারবার হাত ধোয়া, খাবার আগে, টয়লেটের পরে, সন্দেহজনক কিছু ধরার পরে। মোট কথা যত বেশি পারা যায় হাত ধোয়া।
৩. বেশি বেশি ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়া যেমনঃ আমলকি, লেবু, কাঁচা মরিচ ইত্যাদি। চায়নাতে করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা করার জন্য শিরাপথে ভিটামিন সি ব্যবহার করে বেশ ভালো রেজাল্ট পাওয়া গেছে।
রেফারেন্সঃ https://clinicaltrials.gov/ct2/show/NCT04264533
ভিটামিন সি শরীরে প্রদাহ কমায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, এতে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে৷ তাই বেশি করে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খান।
৪. ফাস্টিং তথা না খেয়ে থাকা। আমরা অনেকেই জানি ফাস্টিং আমাদের ইমিউনিটি তথা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আমাদের উচিত বেশি বেশি ফাস্টিং করা এতে করোনা ভাইরাস আমাদের আক্রমণ করার সুযোগ পাবে না ইন শা আল্লাহ্।
৫. যাদের অন্য রোগ আছে যেমনঃ ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট, এজমা ইত্যাদি এবং যারা বয়স্ক তাদের অধিক সতর্ক থাকতে হবে। করোনা সাধারণত এনাদেরই বেশি আক্রমণ করে৷ কারণ তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। তাই যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত, খুব সতর্ক থাকবেন।
আরো পড়ুনঃ করোনা ভাইরাস: রক্ষা কবচ নিজের কাছে
৬. রোগ দেয়ার মালিক আল্লাহ্, সুস্থ করার মালিকও তিনিই৷ তাই আমাদের সবচেয়ে জরুরী যে কাজ তা হলো আল্লাহর কাছে দুয়া করা৷ তিনি যেন এই মহামারী থেকে আমাদের রক্ষা করেন।
করোনা ভাইরাসের লক্ষণগুলো সাধারণ ফ্লু গুলার মতই। জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি। এই লক্ষণগুলো যদি দেখা দেয় তাহলে প্রথমে ধৈর্য ধরে সাধারণ ব্যবস্থাগুলো নিতে হবে। ৭-১০ দিন পরেও যদি ভাল না হয় এবং যদি শ্বাসকষ্ট সহ রোগের অবনতি হয় তবে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে পরীক্ষা করার জন্য IEDCR এ যোগাযোগ করতে হবে। রোগীগণ নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে আসার পর হুট করে মাস্কের দাম বেড়ে গেছে। ১৫০ টাকায় যে বক্স বিক্রি হত তা এখন ১৫০০-২০০০ টাকা! কিন্তু করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে আসলেই কি মাস্ক পরার প্রয়োজন আছে?
করোনা ভাইরাস একটি বড় আকৃতির ভাইরাস। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে এটি বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় না। এটা ছড়ায় respiratory droplets অর্থাৎ হাঁচি, কাশি, সর্দি ইত্যাদির মাধ্যমে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কারো এই ড্রপলেটগুলোর সাথে আপনারা যদি সরাসরি কন্টাক্টে আসেন তথা স্পর্শ করেন তখন আপনার শরীরে এই ভাইরাস ঢুকতে পারে।
World Health Organisation (WHO) এর গাইডলাইন অনুযায়ী কোনো সুস্থ মানুষের করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য কোনো মাস্ক ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। তাহলে মাস্ক কারা ব্যবহার করবে? যারা অসুস্থ হয়েছেন তারা। যাদের সর্দি, কাশি, হাঁচি হচ্ছে তারা মাস্ক পরে থাকবেন যেন এগুলো বাইরে না ছড়ায়৷ হাঁচি বা কাশি দেয়ার সময় টিস্যু ব্যবহার করা উচিত৷
কিন্তু টিস্যু যদি না থাকে তখন কী করবেন? আপনার হাতের কনুই ব্যবহার করবেন। হাত ভাঁজ করে কনুইটা মুখের কাছে এনে তারপর হাঁচি বা কাশি দিবেন। হাতের মধ্যে দিবেন না কিন্তু!
সুতরাং করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই৷ বরং পরিষ্কার পানি দিয়ে বারবার হাত ধুয়ে নিন ও প্রচুর ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান।
এছাড়া আরও কিছু নরমাল এটিকেট মেনে চলা দরকারঃ
১. কারো জ্বর, সর্দি, কাশি হলে সেটা সাধারণ ফ্লু ই হোক না কেন সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাসা থেকে বের হবেন না।
২. কোনো ব্যক্তির যদি হাঁচি, কাশি থাকে তার থেকে তিন ফিট বা ১ মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন।
৩. যত বেশি পারা যায় হাত ধুয়ে নিন। প্রতিবার নামাজ পড়ার আগে ওযু করার চেষ্টা করুন।
৪. কোনো রকম গুজবে কান দিবেন না। কোনো জড় পদার্থের উপর করোনা ভাইরাস বেঁচে থাকতে পারে না৷ তাই চীন বা করোনা আক্রান্ত বিভিন্ন দেশ থেকে আনা কোনো জিনিস ব্যবহার করাতে কোনো সমস্যা নেই। রসুন খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। তবে রসুন, করোনা প্রতিরোধে তেমন কিছু করতে পারে না।
নিজে জানুন, অন্যকে জানান। ভয় পাবেন না, ভরসা রাখুন আল্লাহর উপর।
আল্লাহ্ তা’আলা আমাদের করোনার আক্রমণ থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দিন।
প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন আইইইডিসিআর এর সাথে
ডা. শাফায়াত হোসেন লিমন
চিকিৎসক, লাইফ স্টাইল মডিফায়ার।
ফেসবুক পেজ: fb.com/dr.shafayat.hossen.limon
ডায়াবেটিস, হাই প্রেশারের ওষুধ খেয়ে ভালো আছেন? মনে করছেন ভালোই তো আছি কোনো পরিবর্তনের দরকার কী? ভাবছেন ভাত ছাড়া কি থাকা যায়? কোনো ডাক্তারই তো ভাত খেতে মানা করে না, ভাত ছাড়া চলবো কিভাবে?
আপনাদের জ্ঞাতার্থে বলছি, আমরা প্রচুর পেশেন্ট দেখেছি, দেখছি যারা ওষুধ ঠিকমত খেয়েও অসুস্থ হচ্ছেন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নেই, কিডনির সমস্যা, হার্টের সমস্যা, লিভারের সমস্যা হয়ে গেছে। নিয়মিত প্রেশারের ওষুধ খেয়ে ও স্ট্রোক করছে! এগুলোর কারণ কী? কারণ হলো যে ওষুধগুলো দেয়া হয় সেগুলো কিন্তু রোগের আসল চিকিৎসা না। জাস্ট লক্ষণগুলো দমিয়ে রাখার ব্যবস্থা করা৷ ডায়াবেটিস (টাইপ টু), হাই প্রেশার, ফ্যাটি লিভার এগুলো সবগুলোকে আমরা একসাথে বলি মেটাবোলিক সিন্ড্রোম এবং এই রোগগুলো হওয়ার জন্য প্রধানত দায়ী আমাদের খাদ্যাভ্যাস। আমরা অধিক পরিমাণে ইনসুলিনোজেনিক অর্থাৎ শর্করা জাতীয় খাদ্য খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়েছে। এই ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সই মেটাবোলিক সিন্ড্রোমের মূল কারণ। আপনি যদি ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স ঠিক করতে পারেন তবে আপনার রোগ ঠিক হয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ্।
এখন প্রশ্ন হলো ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কি ঠিক করা সম্ভব? জ্বী সম্ভব ইন শা আল্লাহ্। আপনি খাবার পরিবর্তন করার মাধ্যমে এবং না খেয়ে থাকার মাধ্যমে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আপনাকে শর্করা জাতীয় খাবার অর্থাৎ ভাত, রুটি, আলু, চিনি, নুডুলস, পাস্তা, ছোলা, সিরিয়ালস, ওটস, মিষ্টি ফল ইত্যাদি এগুলো বাদ দিতে হবে এবং এর বদলে ভালো চর্বিযুক্ত খাবার খেতে হবে যেমনঃ বাদাম, ঘি, মাখন, নারকেলের তেল, ডিম, মাছ, মাংশ ইত্যাদি খেতে হবে। সাথে প্রচুর পরিামাণে সবুজ শাক-সবজি আপনাকে খেতে হবে। এটাকে আমরা বলছি কিটোডায়েট। আপনি যখন কিটোডায়েট এবং সাথে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং (একটি লম্বা সময় যেমনঃ ১৬ ঘন্টা না খেয়ে থাকা) করবেন তখন আস্তে আস্তে আপনার ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স ঠিক হওয়া শুরু করবে, আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমে যাবে। আপনি অনেক এনার্জেটিক এবং ভালো অনুভব করবেন ইন শা আল্লাহ্।
তাই দেরি না করে প্রকৃত সমাধানের জন্য কাজে নামুন৷ তবে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী করার চেষ্টা করবেন। যিনি আপনাকে কিটোডায়েট এবং ফাস্টিংয়ের একটা প্ল্যান দিতে পারবেন এবং আপনাকে নিয়মিত ফলোআপে রাখতে পারবেন৷
আমাদের অনলাইন কন্সাল্টেন্সি নিতে চাইলে ইনবক্স করতে পারেন।
ডা. শাফায়াত হোসেন লিমন
চিকিৎসক, লাইফ স্টাইল মডিফায়ার।
ফেসবুক পেজ: fb.com/dr.shafayat.hossen.limon
ডায়াবেটিস একটি মারাত্মক রোগ। এই রোগ ভার্চুয়ালি যেকোনো অঙ্গকে ইফেক্ট করতে পারে। তবে এটি প্রধানত চারটি অঙ্গের জন্য খুব ক্ষতিকরঃ
১. ব্রেইন
২. কিডনি
৩. চোখ
৫. হার্ট ও রক্তনালী
প্রতিদিন অনেক ডায়াবেটিস রোগী দেখা হয়, হার্টের পেশেন্ট ও দেখি। ডায়াবেটিসের কারণে অন্যান্য রোগ হচ্ছে এমনও দেখা হয়৷ দেখি আর আফসোস করি! ইশ, তারা যদি একটা প্রোপার গাইডলাইন পেত তাহলে আল্লাহর ইচ্ছায় অনেক ক্ষতি থেকে বেঁচে যেত। ডায়াবেটিস একটি রিভার্সিবল, কিউরেবল ডিজিজ৷ এটা ভাল হয়৷ টাইপ টু ডায়াবেটিস (যা একটু বেশি বয়সে হয়) পুরোটাই এবং টাইপ ১ ডায়াবেটিস (২০ এর আগে হয়) অনেকটাই ঠিক করা সম্ভব। এর জন্য কোনো ওষুধের প্রয়োজন নেই। শুধু খাবার এবং লাইফস্টাইল পরিবর্তনের মাধ্যমে এই রোগ ঠিক করা যায়। কিটোজেনিক ডায়েট করার মাধ্যমে এই রোগ ভাল করা যায়। অসংখ্য মানুষ কিটোডায়েট ফলো করে ভালো হয়েছেন।
ডায়াবেটিসের কারণে তাদের যে ক্ষতিগুলো হয়েছিল সেগুলো থেকে বেঁচে ফিরছেন৷ অনেক পরিসংখ্যান আছে৷ দৈনিক ১০০ ইউনিটের বেশি ইনসুলিন নিতেন এমন রোগীও ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পেয়েছেন কেবল ডায়েট ও এক্সারসাইজ এর মাধ্যমে।
বিষয়টা কিন্তু খুব জটিল কিছু না। ডায়াবেটিস একটি diatery disease. যে রোগ খাবারের মাধ্যমে হয় সেটাকে খাবারের মাধ্যমেই চিকিৎসা করতে হবে। যেটা বেশি খাওয়ার কারণে এই রোগ হচ্ছে সেটা বাদ দিয়ে দিতে হবে। As simple as that. তবে একজন ডাক্তারের গাইডলাইনে থেকেই ধাপে ধাপে চেষ্টা করা উচিত।
দুটো বিষয় নিয়ে খুব কাজ করতে ইচ্ছা হয়ঃ
১. মানুষকে ধরে ধরে নামাজের কথা বলি।
২. মানুষকে ধরে ধরে মেটাবোলিক সিন্ড্রোম (ডায়াবেটিস, হাই প্রেশার, হাই কোলেস্টেরল, ফ্যাটি লিভার ইত্যাদি) থেকে বাঁচার উপায় বলি৷
আপনাদের প্রতি অনুরোধ আপনারা এই মেসেজগুলো, ইনফরমেশনগুলো শেয়ার করুন। আপনার নিকটাত্মীয়, পরিজনদের বলুন। তাদের সচেতন করুন৷ সঠিক গাইডলাইন ফলো করে তারা যেন এসব রোগ থেকে মুক্তি পায় সে পথ তাদের দেখিয়ে দিন।
ডা. শাফায়াত হোসেন লিমন
লেখক: লাইফ স্টাইল মডিফায়ার,
ফেসবুক পেইজ : https://www.facebook.com/dr.shafayat.hossen.limon/