সংযুক্ত আরব আমিরাতের কর্তৃপক্ষ আজানের বাণী বদলে দিয়েছে।
খালিজ টাইমস ও গালফ নিউজ নামের দুটি সংবাদপত্র তাদের রিপোর্টে জানাচ্ছে, সোমবার আমিরাতের মসজিদগুলো থেকে যে আজান দেয়া হয় তাতে একটি নতুন বাক্য যুক্ত হয়েছে।
আজানে যুক্ত করা এই নতুন বার্তায় লোকজনকে বাড়িতে থেকে নামাজ পড়ার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।
ইসলাম ধর্মের রীতিতে মসজিদে এসে নামাজ পড়ার আহ্বান জানিয়ে যে আজান দেয়া হয় তার বাণীতে একটি বাক্য হচ্ছে ‘হাইয়া আলা আল-সালাহ’ – যার অর্থ নামাজ পড়তে আসুন।
নতুন আজানে শোনা যাচ্ছে মুয়াজ্জিন বলছেন, ‘আল-সালাতু ফি বুয়ুতিকুম’ – অর্থাৎ বাড়িতে থেকে (অথবা আপনি যেখানে আছেন সেখানে থেকেই) নামাজ পড়ুন।
মুয়াজ্জিনকে এ বাক্যটি দু’বার বলতেও শোনা যায়।
দুবাইয়ের ইসলামিক এফেয়ার্স এ্যান্ড চ্যারিটেবল এ্যাকটিভিজ ডিপার্টমেন্টকে উদ্ধৃত করে গালফ নিউজ জানাচ্ছে, ওই বিভাগের ইনস্টাগ্রাম পেজে পোস্ট করা এক বার্তায় বলা হয়, “প্রতিষ্ঠানটির জাতীয় ও সামাজিক দায়িত্বে প্রতি অঙ্গীকার অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে দুবাইয়ের সব মসজিদে জামাতে নামাজ পড়া স্থগিত থাকবে, এবং জনগণকে তাদের বাড়িতে থেকে নামাজ পড়তে বলা হবে এবং এই মহামারি মোকাবিলায় আমাদের সাহায্য করার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হবে।”
গালফ নিউজ জানায়, এই পোস্টের আরবি সংস্করণে শেষে একটি লাইন জুড়ে দেয়া হয়েছে যাতে বলা হয়, (এ পরিবর্তনের ব্যাপারে আপনাদের সচেতন করতে) এখন মুয়াজ্জিনকে বলতে শোনা যাবে ‘বাড়িতে নামাজ পড়ুন’।
খালিজ টাইমসের রিপোর্টে বলা হয় ‘দ্য জেনারেল অথরিট অব ইসলামিক এ্যাফেয়ার্স এ্যান্ড এনডাওমেন্টস’ সোমবার বলেছে, “মসজিদগুলো থেকে মুসল্লিদেরকে নামাজের সময়ের ব্যাপারে সচেতন করতেই শুধু আজান দেয়া হবে। মসজিদের দরজা বন্ধ থাকবে।”
কোভিড নাইনটিন বিস্তার ঠেকানোর জন্য আমিরাতে মসজিদে এসে নামাজ পড়া স্থগিত হয়েছে
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই এই নতুন আজানের ভিডিও পোস্ট করে বিস্ময় প্রকাশ করছেন।
করোনাভাইরাস বা কোভিড নাইনটিন বিস্তার ঠেকানোর জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতে মসজিদে এসে নামাজ পড়া স্থগিত রাখা হয়েছে। এই স্থগিতাদেশের মেয়াদ চার সপ্তাহ।
সোমবার রাতে আমিরাত সরকারের এ নির্দেশ ঘোষিত হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সব জায়গাতেই এক মাসের এ স্থগিতাদেশ কার্যকর হবে বলে গালফ নিউজের সংবাদে বলা হয়।
কুয়েতের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, আমিরাতে অন্তত ১০০ জনের দেহে কোনাভাইরাস সংক্রমণ নিশ্চিত করা হয়েছে।
সারা পৃথিবীতে এখন ১ লাখ ৭৩ হাজার লোক কোভিড নাইনটিন সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছে, এবং মারা গেছে সাত হাজার। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা একে বিশ্বব্যাপী মহামারি বলে ঘোষণা করেছে।
সউদি আরবেও মসজিদে গিয়ে সব রকমের নামাজ পড়া স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা।
তবে শুধু মাত্র মক্কায় ইসলাম ধর্মের পবিত্রতম স্থান এবং আল-মদিনার মসজিদ দুটিকে এ নির্দেশের বাইরে রাখা হয়েছে।
সৌদি আরবে ১৩৩ জন লোক করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাস: রক্ষা কবচ নিজের কাছে
নভেল করোনা ভাইরাসঃ নিজেকে ও অন্যকে সুরক্ষিত রাখার উপায়
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত, জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ
যে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস
করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন
সৌজন্যেঃ বিবিসি বাংলা
বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো কোয়ারেন্টিনে আছেন বলে নানা সংবাদ মাধ্যমে জানা গেছে।
এর আগে নিশ্চিত করা হয়েছে রোনালদোর ক্লাব জুভেন্তাসের সতীর্থ ডেনিয়েল রুগানির করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে।
রুগানি, ক্লাব ও দেশ ইতালির হয়ে রক্ষণভাগে খেলেন।
জুভেন্তাসের ওয়েবসাইট নিশ্চিত করেছে ৩৫ বছর বয়সী রোনালদো তার জন্মস্থানে অবস্থান করছে।
জুভেন্তাস ওয়েবসাইট বলছে, “বর্তমানে যে স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা চলছে তা বিবেচনায় এনে রোনালদো স্বেচ্ছায় মাদেইরায় অবস্থান করছেন।”
মূলত ঝুঁকি কমানোর জন্যই রোনালদোর এই অবস্থান।
ফুটবলের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গোল ডট কম বলছে, জুভেন্তাস অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে, যেখানে রোনালদো যোগ দেননি।
করোনাভাইরাস যাতে সংক্রমণ না হয় সেজন্যই এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছেন রোনালদো।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রেয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্তাসে খেলেছেন রোনালদো
সম্প্রতি রোনালদোর মা স্ট্রোক করার পর তাকে দেখতে যান এই পর্তুগিজ তারকা। এরপর সরাসরি পর্তুগালে নিজের বাড়ি মাদেইরায় যান রোনালদো।
সোমবার ইতালিয়ান লিগ বন্ধ ঘোষণার আগে রোববার ইন্টার মিলানের বিপক্ষে একটি ম্যাচে জুভেন্তাস ২-০ গোলের জয় পায়। এই ম্যাচটিতে রোনালদো ও রুগানি একই ড্রেসিং রুমে ছিলেন।
রুগানি অবশ্য ওই ম্যাচে মাঠে নামেননি।
জার্মানির হ্যানোভারের ডিফেন্ডার টিমো হুবার্সের পর দ্বিতীয় পেশাদার ফুটবলার হিসেবে রুগানির করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে।
নিজের টুইটার পাতায় রুগানি লেখেন, “আপনারা খবরে জেনে থাকবেন কী হয়েছে, আমাকে নিয়ে চিন্তা করবেন না। আমি ভালো আছি।”
সবাইকে নিয়ম মানার আহ্বান জানিয়ে রুগানি বলেন, “আমরা নিজেদের ও কাছের মানুষদের জন্য সচেতন থাকি।”
করোনাভাইরাসের কারণে আগামী তেসরা এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের ক্রীড়া ইভেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতালি।
দেশটির সরকার আগেই ঘোষণা দিয়েছিল, শীর্ষ ফুটবল প্রতিযোগিতাসহ সব ধরনের ক্রীড়া ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে খালি মাঠে।
করোনা ভাইরাস: রক্ষা কবচ নিজের কাছে
নভেল করোনা ভাইরাসঃ নিজেকে ও অন্যকে সুরক্ষিত রাখার উপায়
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত, জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মধ্যকার ম্যাচটিতে দর্শক ছিল না গত রাতে, তবে প্যারিসে পিএসজির ২-০ গোলে জয়ের পর প্রচুর মানুষ পার্ক দে প্রিন্সেসে জড়ো হয়ে উল্লাস করে।
আজ রাতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, চেলসি, রেঞ্জার্সের ইউরোপা লিগের ম্যাচগুলো দর্শক ছাড়াই আয়োজিত হবে।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ ওলে গুনার সোলশার বলছেন, এবার যদি মৌসুমের সব ম্যাচ না হয় তবে সেটাও বোধগম্য হবে।
স্প্যানিশ ফুটবল লিগের সকল খেলা আগামী দুই সপ্তাহের জন্য দর্শক ছাড়া খেলা হবে বলে মঙ্গলবার জানা গেছে।
২০২০ সালের ইউরোর প্লে অফের টিকিট বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে।
সৌজন্যেঃ বিবিসি বাংলা
আমাদের দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে এটা প্রায় সকলেই জেনে গেছেন। এখন প্রশ্ন হলো এটা নিয়ে আমাদের কতটুকু চিন্তিত হওয়া উচিত এবং প্রতিরোধ করার জন্য কী ব্যবস্থা নেয়া দরকার এবং আমাদের লাইফস্টাইলটা কেমন হলে আমরা করোনা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হব ইন শা আল্লাহ্ঃ
১. আমাদের প্রথম কাজ হলো এটা নিয়ে গুজব না ছড়ানো, অতিরিক্ত আতংকিত না হওয়া। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে মৃত্যুর হার মাত্র ১-২%। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অন্যান্য অনেক রোগ আছে যেসবের মৃত্যুর হার করোনার চেয়ে বেশি। সুতরাং উল্টোপাল্টা গুজব না ছড়িয়ে ধৈর্য ধরে ব্যবস্থা নিতে হবে।
২. করোনা ভাইরাস আকৃতিতে বড়। এটা সাধারণত বাতাসে ভাসে না৷ তাই বাতাসের মাধ্যমে ছড়ানোর সম্ভাবনা কম৷ এটা মূলত ছড়ায় Droplet তথা হাঁচি, কাশি, সর্দির মাধ্যমে। এ কারণে আমাদের যতটা না মাস্ক ব্যবহার করা দরকার তার চেয়ে বেশি দরকার হাত ধোয়া। মাস্ক ব্যবহার করতে গিয়ে আবার হিতে বিপরীত হতে পারে৷ কারণ বেশিরভাগ মানুষই মাস্ক সঠিকভাবে ব্যবহার করতে জানে না। আমাদের উচিত বারবার হাত ধোয়া, খাবার আগে, টয়লেটের পরে, সন্দেহজনক কিছু ধরার পরে। মোট কথা যত বেশি পারা যায় হাত ধোয়া।
৩. বেশি বেশি ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়া যেমনঃ আমলকি, লেবু, কাঁচা মরিচ ইত্যাদি। চায়নাতে করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা করার জন্য শিরাপথে ভিটামিন সি ব্যবহার করে বেশ ভালো রেজাল্ট পাওয়া গেছে।
রেফারেন্সঃ https://clinicaltrials.gov/ct2/show/NCT04264533
ভিটামিন সি শরীরে প্রদাহ কমায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, এতে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে৷ তাই বেশি করে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খান।
৪. ফাস্টিং তথা না খেয়ে থাকা। আমরা অনেকেই জানি ফাস্টিং আমাদের ইমিউনিটি তথা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আমাদের উচিত বেশি বেশি ফাস্টিং করা এতে করোনা ভাইরাস আমাদের আক্রমণ করার সুযোগ পাবে না ইন শা আল্লাহ্।
৫. যাদের অন্য রোগ আছে যেমনঃ ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট, এজমা ইত্যাদি এবং যারা বয়স্ক তাদের অধিক সতর্ক থাকতে হবে। করোনা সাধারণত এনাদেরই বেশি আক্রমণ করে৷ কারণ তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। তাই যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত, খুব সতর্ক থাকবেন।
আরো পড়ুনঃ করোনা ভাইরাস: রক্ষা কবচ নিজের কাছে
৬. রোগ দেয়ার মালিক আল্লাহ্, সুস্থ করার মালিকও তিনিই৷ তাই আমাদের সবচেয়ে জরুরী যে কাজ তা হলো আল্লাহর কাছে দুয়া করা৷ তিনি যেন এই মহামারী থেকে আমাদের রক্ষা করেন।
করোনা ভাইরাসের লক্ষণগুলো সাধারণ ফ্লু গুলার মতই। জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি। এই লক্ষণগুলো যদি দেখা দেয় তাহলে প্রথমে ধৈর্য ধরে সাধারণ ব্যবস্থাগুলো নিতে হবে। ৭-১০ দিন পরেও যদি ভাল না হয় এবং যদি শ্বাসকষ্ট সহ রোগের অবনতি হয় তবে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে পরীক্ষা করার জন্য IEDCR এ যোগাযোগ করতে হবে। রোগীগণ নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে আসার পর হুট করে মাস্কের দাম বেড়ে গেছে। ১৫০ টাকায় যে বক্স বিক্রি হত তা এখন ১৫০০-২০০০ টাকা! কিন্তু করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে আসলেই কি মাস্ক পরার প্রয়োজন আছে?
করোনা ভাইরাস একটি বড় আকৃতির ভাইরাস। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে এটি বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় না। এটা ছড়ায় respiratory droplets অর্থাৎ হাঁচি, কাশি, সর্দি ইত্যাদির মাধ্যমে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কারো এই ড্রপলেটগুলোর সাথে আপনারা যদি সরাসরি কন্টাক্টে আসেন তথা স্পর্শ করেন তখন আপনার শরীরে এই ভাইরাস ঢুকতে পারে।
World Health Organisation (WHO) এর গাইডলাইন অনুযায়ী কোনো সুস্থ মানুষের করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য কোনো মাস্ক ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। তাহলে মাস্ক কারা ব্যবহার করবে? যারা অসুস্থ হয়েছেন তারা। যাদের সর্দি, কাশি, হাঁচি হচ্ছে তারা মাস্ক পরে থাকবেন যেন এগুলো বাইরে না ছড়ায়৷ হাঁচি বা কাশি দেয়ার সময় টিস্যু ব্যবহার করা উচিত৷
কিন্তু টিস্যু যদি না থাকে তখন কী করবেন? আপনার হাতের কনুই ব্যবহার করবেন। হাত ভাঁজ করে কনুইটা মুখের কাছে এনে তারপর হাঁচি বা কাশি দিবেন। হাতের মধ্যে দিবেন না কিন্তু!
সুতরাং করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই৷ বরং পরিষ্কার পানি দিয়ে বারবার হাত ধুয়ে নিন ও প্রচুর ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান।
এছাড়া আরও কিছু নরমাল এটিকেট মেনে চলা দরকারঃ
১. কারো জ্বর, সর্দি, কাশি হলে সেটা সাধারণ ফ্লু ই হোক না কেন সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাসা থেকে বের হবেন না।
২. কোনো ব্যক্তির যদি হাঁচি, কাশি থাকে তার থেকে তিন ফিট বা ১ মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন।
৩. যত বেশি পারা যায় হাত ধুয়ে নিন। প্রতিবার নামাজ পড়ার আগে ওযু করার চেষ্টা করুন।
৪. কোনো রকম গুজবে কান দিবেন না। কোনো জড় পদার্থের উপর করোনা ভাইরাস বেঁচে থাকতে পারে না৷ তাই চীন বা করোনা আক্রান্ত বিভিন্ন দেশ থেকে আনা কোনো জিনিস ব্যবহার করাতে কোনো সমস্যা নেই। রসুন খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। তবে রসুন, করোনা প্রতিরোধে তেমন কিছু করতে পারে না।
নিজে জানুন, অন্যকে জানান। ভয় পাবেন না, ভরসা রাখুন আল্লাহর উপর।
আল্লাহ্ তা’আলা আমাদের করোনার আক্রমণ থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দিন।
প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন আইইইডিসিআর এর সাথে
ডা. শাফায়াত হোসেন লিমন
চিকিৎসক, লাইফ স্টাইল মডিফায়ার।
ফেসবুক পেজ: fb.com/dr.shafayat.hossen.limon
এদের মধ্যে দুইজন সম্প্রতি ইতালি থেকে এসেছেন।
রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানিয়েছেন, ”তিনজনের শরীরে নভেল করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে”
আক্রান্তদের বয়স বিশ থেকে পয়ত্রিশ বছরের মধ্যে বলে জানানো হয়েছে।
• করোনাভাইরাস: কীভাবে শনাক্ত করছে বাংলাদেশ?
• করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর
• করোনাভাইরাসে হওয়া রোগের নতুন নাম ‘কোভিড–১৯‘
• করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী
আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, এই তিনজনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে শনিবার।
“আক্রান্তদের মধ্যে যে দুইজন ব্যক্তি দেশের বাইরে থেকে এসেছেন, দেশে আসার পর তাদের যখন লক্ষ্মণ ও উপসর্গ দেখা গেছে, তখন তারা আইইডিসিআরের হটলাইনে যোগাযোগ করেছেন। তার ভিত্তিতে সংস্থাটি থেকে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার পর করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।”
ইতালি থেকে আসা দুই ব্যক্তি ভিন্ন পরিবারের সদস্য।
তবে তাদের নমুনা সংগ্রহের সময় দুই পরিবারের আরো চারজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
“চারজনের মধ্যে একজনের পরিবারের একজন নারী সদস্যের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। বাকি তিনজন নেগেটিভ।”
আক্রান্তরা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, কিন্তু কোথায় সে বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
আক্রান্ত ব্যক্তিরা বাদে আরো তিনজনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
আজই প্রথমবারের মত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস নিয়ে কথা বলেছেন।
ঢাকায় নারী দিবসের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, “করোনাভাইরাস মোকাবেলায় যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে, উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেই।”
একই আহ্বান জানিয়েছেন আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাও।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, “এর আগে সরকার প্রতিটি হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট করা হয়েছিল, এখন আইসোলেটেড হাসপাতাল চিহ্নিত করা হচ্ছে। এগুলো ঢাকার বাইরেও চিহ্নিত করা হচ্ছে।”
“পরবর্তীতে যদি রোগী আরো বৃদ্ধি পায়, যদি স্কুল কলেজ বা কমিউনিটি সেন্টারে হাসপাতাল করার প্রয়োজন হয়, তাহলে সে প্রস্তুতিও সরকারের আছে।”
• সদা পরিবর্তনশীল করোনাভাইরাস কতটা বিপজ্জনক?
• নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের?
এর বাইরে বেসরকারি হাসপাতালেও আইসোলেশন ইউনিট করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত তিনজন আক্রান্ত হয়েছে।
এতে করে সারা বাংলাদেশে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে এমন কিছু বলা যাবে না। স্কুল-কলেজ বন্ধ করার প্রয়োজন নেই।
তবে সাধারণ মানুষকে জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
এজন্য বাড়িতে থাকা পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
করণীয় হিসেবে সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া ও কাশি শিষ্টাচার মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
এজন্য গণমাধ্যমসহ দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
আইইডিসিআর এর এই পরিচালক বলেন, সবাইকে মাস্ক পরে ঘুরতে হবে বিষয়টা এমন না।
“আক্রান্ত রোগী ও রোগীকে যিনি সেবা দিবেন তারা মাস্ক পরবেন। সবার পড়ার প্রয়োজন নাই।”
তথ্যসূত্র: বিবিসি